সভাপতির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা আজ এই অফিসে আছি, বিভিন্ন পদে অনেকে আছেন, এসব পদ কীভাবে পেলাম? বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা এসব জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, তার কারণ হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু।
যিনি জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য। নিজের জীবনও বিসর্জন দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি মানুষকে বিশ্বাস করতেন। তাঁর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী, এমন প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমি বাঙালিকে অনেক বেশি ভালোবাসি,” এ–ই ছিলেন বঙ্গবন্ধু।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে থাকতে হবে। প্রত্যেককে ধারণ করতে হবে, আমরা অসাম্প্রদায়িক মানুষ। এ দেশে যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এ ধরনের সিল কোনোভাবেই লাগাতে দেব না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সবাই ভূমিকা রাখব। যার যেখান থেকে সম্ভব, সেখান থেকে আমরা ভূমিকা রাখব।’
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু কর্নার করতে চান জানিয়ে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সবাই একমত হলে এই মাসে কর্নার স্থাপন করা হবে। এর জবাবে আইন কর্মকর্তারা একমত পোষণ করে ধন্যবাদ জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করব লাইব্রেরিতে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পেপারবুকও থাকবে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁকে নিয়ে লেখা বই সংগ্রহ করব, যাতে কেউ এলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পড়তে, জানতে ও গবেষণা করতে পারে। যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি, তাহলে এটি সমৃদ্ধ করতে পারব।’
দুই পর্বের এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে আনিচ উল মাওয়া, মো. আবুল কালাম খান, মো. নাসিম ইসলাম, মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, মো. তৌফিক সাজাওয়ার, মো. মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আইন কর্মকর্তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীলনকশায় জড়িত ও কুশীলবদের কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবি তোলেন কেউ কেউ। বঙ্গবন্ধুর আদেশ পালন করতে নিজের দায়িত্ব সততা ও দক্ষতার সঙ্গে পালনের ওপর জোর দেওয়া হয় আলোচনায়।
Leave a Reply